আজ আবারো সংবাদ সম্মেল করে রিফাত হত্যায় মিন্নির বিরুদ্ধে বোমা ফাটালো তার শ্বশুর!

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে কয়েকদিন আগে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ। পরে সে মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন মিন্নি।

এবার মিন্নির বাবা-মাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আবারও সংবাদ সম্মেলন করলেন রিফাতের বাবা হালিম শরীফ। এ ছাড়া রিফাত হত্যা মামালার পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

আজ রোববার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন হালিম শরীফ। এ সময় রিফাতের মা, বোন, চাচা-চাচি ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত রিফাতের বাবা বলেন, ‘বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে দিনে-দুপুরে আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে “০০৭” গ্রুপের সদস্যরা। এ ঘটনায় আমি একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। প্রাথমিকভাবে যে ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে সেখানে মিন্নির ভূমিকায় সবাই প্রশংসা করে। তাই আমি প্রাথমিকভাবে মিন্নিকে মামলার ১ নম্বর সাক্ষী করি। পরবর্তীতে এ ঘটনার আরও ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ায় মিন্নির ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া নয়ন বন্ডের মায়ের কথায় আরও প্রকাশ্যে আসে মিন্নির আসল চেহারা। এরপর আমি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে এই হত্যাকাণ্ডে মিন্নির সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাই। পুলিশও তাদের তদন্তে মিন্নির সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এতেই প্রতিয়মান হয় যে, মিন্নিই এই খুনের প্রধান পরিকল্পনাকারী।’

এ সময় রিফাতের বাবা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কিছু কিছু গণমাধ্যম আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ছেলে হারিয়েছি, আমার পাশে না দাঁড়িয়ে তারা খুনিদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মিন্নির মা-বাবা আমার কাছে তাদের মেয়ের বিয়ের বিষয়টি গোপন করে রিফাতের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছে। এই বিয়েই আমার ছেলের জীবনের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি মিন্নির মা-বাবাকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

এর আগে গত ১৩ জুলাই রাত ৮টার দিকে মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ। পরে ১৬ জুলাই রাতে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।